পর্তুগালে উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য

 



পর্তুগাল — সমৃদ্ধ ও সুন্দর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সেনজেনভুক্ত দেশ সমূহের একটি। ইউরোপের একবারে পশ্চিমে আটলান্টিকের পাড়ে পর্তুগালের অবস্থান। নতুন করে বর্তমান সময়ের পর্তুগাল সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছুই নেই বর্তমান ফুটবলের জাদুকর রোনালদো এর পর্তুগালের ই বাসিন্দা। ৩ দিকে সমুদ্র (আটলান্টিক মহাসাগর আর একদিনে স্পেনের বর্ডার . ইউরোপিয়ন উনিয়নের সবচেয়ে বেশি ইমিগ্রান্ট ফ্রেন্ডলি কান্ট্রি হচ্ছে এই পর্তুগাল বর্তমান সময়ে। পড়াশুনার পাশাপাশি রয়েছে স্থায়ীভাবে বসবাস ও নাগরিকত্ব অর্জনের সুযোগ। ইউরোপীয়ন উইনিয়নের সবচেয়ে নিরাপদ দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পর্তুগালের নাম এবং বিশের ৫ নাম্বার মোস্ট পাওয়ারফুল পাসপোর্ট এর অধিকারী এই পর্তুগাল। আসুন এক নজরে পর্তুগালের উচ্চশিক্ষা নিয়ে খুঁটিনাটি বিষয় গুলো জেনে নেই.
$ads={1}




পর্তুগালে মত ৪৭ টি বিশ্ববিদ্যালয়, ৭৪ টি পলিটেকনিক, ৬ টি মিলিটারী একাডেমি রয়েছে . পড়াশুনার লেভেল ৩ ভাগে ভাগ করা আছে. ১ম সাইকেল — ব্যাচেলর ডিগ্রী , ২য় সাইকেল — মাষ্টার্স ডিগ্রী , থার্ড সাইকেল — পি এইচ ডি ডিগ্রি। প্রথমে বলি ব্যাচেলর লেভেলে ইংলিশে ডিগ্রী প্রোগাম খুব কম উনিভার্সিটি ই আছে যারা অফার করে , তবে এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স এবং পিএইচডি পর্যায়ে অনেক বিষয় ইংরেজীতে পাঠদান করানো হয় এবং অনার্স পর্যায়ে স্বল্প পরিসরে ইংরেজি ও বেশির ভাগ পর্তুগিজ ভাষায় পড়ানো হয়। অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় পর্তুগাল কিছুটা অনুন্নত হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিশ্বে দেশটির সুনাম রয়েছে। পর্তুগালে রয়েছে অনেক পুরাতন ও ভাল মানের বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করে আপনি সহজেই বিশ্ব বাজারে নিজেকে উপযোগী করে তুলতে পারেন।

$ads={1}


কি কি বিষয়ে পড়তে পারবেন ?





$ads={1}

পর্তুগালের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনার্স, মাস্টার্স, পোষ্ট-গ্রাজুয়েশন ও পিএইচডি ছাড়াও প্রায় সকল বিষয়ে পড়াশোনা করা যায়। নিন্মোক্ত সাবজেক্ট গুলোতে আপনি চাইলে ইংলিশে পড়তে পারবেন মাস্টার্স এবং পিএইচ ডি লেভেলে :- Accounting, Architecture, Business, Economics, Engineering, English, Hospitality, Information Technology, Law, Media & Journalism, Pharmacy, Public Administration, Public Health, Social Science, Social Welfare, Travel & Tourism etc.

তাছাড়া এই বিষয় গুলো নিতে কেউ মাস্টার্স করতে চাইলে বৃত্তির ব্যাবস্থাও আছে -

  • Masters in General Engineering
  • Masters in Finance
  • Masters in Management and Leadership
  • Masters in Computer Sciences
  • Masters in Biomedical Engineering

কখন আবেদন করবেন?


এখানে সাধারণত বছরে ০২টি সেশনে আবেদনের সুযোগ আছে। আবেদনের সময়কাল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এবং এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেব্রুয়ারিতে স্বল্পসংখ্যক বিষয়ে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে।



$ads={1}


নামকরা কিছু পাবলিক উনিভার্সিটির তালিকা -

Public universities of Portugal

  • University of Lisbon
  • ISCTE — Lisbon University Institute
  • University of the Azores
  • University of Algarve (includes polytechnic schools)
  • University of Aveiro (includes polytechnic schools)
  • University of Beira Interior
  • University of Coimbra
  • University of Évora (includes polytechnic schools)
  • University of Madeira (includes polytechnic schools)
  • University of Minho (includes polytechnic schools)
  • Universidade Nova de Lisboa
  • University of Porto
  • University of Trás-os-Montes and Alto Douro

তাছাড়া বিদেশি ছাত্র ছাত্রীদের অনাগুনা বেশি নিচের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে -

  • University of Lisbon
  • University of Porto
  • Católica Lisbon Schoolof Business and Economics
  • Polytechnic Institute of Bragança
  • Polytechnic of Leiria

এই গেল উনিভার্সিটি সিলেকশনের কাজ . জার জার পছন্দ মতো সাবজেক্ট খুজার দায়িত্ব আপনার . কোন প্রোগ্রামে আপনি পড়বেন সেটা নিয়ে নির্দিষ্ট করে লিখলাম যদিও অনেকে উল্লেখ করেছেন কমেন্টে ফর এক্সাম্পল — আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে সেই সেই ক্ষেত্রে পড়া যাবে কি না ? আবার বলি উনিভার্সিটি সিলেক্ট, আপনার প্রিভিয়াস স্টাডির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনি চাইলে আপনার মতো করে সাবজেক্ট সিলেকড করে নিতে পারবেন। এত অল্প সময়ে সবার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সাবজেক্ট পড়া যাবে সেটা খুঁজে দেয়া জন্য দুরূহ ব্যাপার। অনুরোধ থাকবে নিজে খুঁজে নেয়ার .



$ads={1}


এখন কাজের কথা আসি . অনেকে জানেন না কোথা থেকে শুরু করবেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাথমিক প্রস্তুতি অনেক বিশাল একটা বেপার। আপনি বিদেশে পড়তে আসবেন আর যদি সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি না থাকে তাহলে তাহলে দেশে ই প্রথম ধাক্কা টা খাবেন, আর এই জন্য পড়তে আসার আগে কি কি প্রস্তুতি নিবে সেটা আলাপ করি . মনে করেন আপনি বাহিরে মাস্টার্স করতে আসবেন। আপনার দেশের উনিভার্সিটির লাস্ট সেমিস্টারে থাকা অবস্থা থেকে টোফেল, আইইএলটিএস এর, জি আর আই, এর প্রিপারেশন নেন. বাংলাদেশ থেকে যেহেতু আইইএলটিএস, টোফেল ছাড়া আর অন্য কোনো আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টেস্টের সুযোগ নাই সেহেতু আপনাকে এই দুইটার প্রতি নজর দিতে হবে. আইইএলটিএস এর ব্যান্ড স্কোরের বেপারে বলার কিছু নাই , ইউরোপিয়ান কাঠামো অনুযায়ী আপনাকে লেভেল বি অথবা ৫.৫ মিনিমাম তুলতে হবে ইউরোপের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার ক্ষেত্রে ( ব্যাচেলর ) মাস্টার্সের ক্ষেত্রে লেভেল সি ( ৬-৬.৫). থাকতে হবে .

এখন কথা হলো পর্তুগালে আইইএলটিএস লাগে কি না উনিভার্সিটি যে আবেদনের ক্ষেত্রে ?

উত্তর — না বাধ্যতামূলক না . কিন্তু এখানে কথা আছে উনিভার্সিটি আবেদনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক না সব উনিভার্সিটিযে কিন্তু এম্বাসী আপনাকে ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সির সার্টিফিকেট থাকলে আপনি এক্সট্রা বেনিফিট পাবেন এবং ভিসা পাবার ক্ষেত্রে সাপোর্ট হিসাবে কাজ করবে।

যে সকল ইংলিশ টেস্ট পর্তুগালের উনিভার্সিটির কাছে গ্রহণযোগ্য তার তালিকা নিচে দেয়া হলো.

  • IELTS
  • TOEFL iBT
  • C1 Advanced/ C2 Proficiency
  • PTE A

পর্তুগালের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আবেদনের ধাপ গুলো সংক্ষেপে -




প্রথম ধাপ :

আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যাবতীয় কন্টাক্ট ই মেইলে করতে হবে . কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকলেই আপনি এনরোলমেন্ট অফিসার বা এডমিশন অফিসের তথ্যে সংগ্রহ করে তাদের ই মেইলে কি কি নির্দিস্ট জিনিসের বেপারে জানতে কেন সুন্দর করে লিখে একটা ই মেইল করে দিবেন। তারা আপনাকে ২/৩ দিনের মধ্যে আবেদনের যাবতীয় লিংক সহ রিপ্লে দিবে .

তারপর আসি কি কি ডকুমেন্টস লাগবে আবেদন করতে ?

$ads={1}

ডেডলাইন অনুসরণ করে

আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন পোর্টালে আবেদনপত্র পূরণ করে তা নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে হবে। অথবা আপনার যাবতীয় ডকুমেন্টস ( নিচে লিস্টেড ) এডমিশন অফিসে ই মেইল করতে পারেন।

  • একাডেমিক সার্টিফিকেটের স্ক্যান কপি,
  • ইউরোপাস সিভি,
  • পাসপোর্টের স্ক্যান কপি,
  • আবেদনকারীর ছবি,
  • রিকোমেনডেসান লেটার (অপশনাল)
  • মটিভেসান লেটার
  • আইইএলটিএস অথবা মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন সার্টিফিকেট

এপ্লিকেশন ফি ( উনিভার্সিটি ভেদে ভিন্ন হয় তবে ৫০-৩০০ ইউরো পরিমান হয়ে থাকে ) অফেরৎ যোগ্য হবে.

এডমিশন অফিস আপনার যাবতীয় ডকুমেন্টস দেখে পারফেক্ট থাকলে সব কন্ডিশোনাল লেটার ইস্যু করবে। টিউশন ফ্রির কিছু টাকা পে করে আপনি মেইন অফার লেটার পাবেন .

২য় ধাপ :

উনিভার্সিটি আপনাকে সিলেক্ট করলে আপনাকে ভিসা আবেদনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে. যেহেতু বাংলাদেশে পর্তুগালের কোনো দূতাবাস নেই সেহেতু আপনাকে ভারতের নয়াদিল্লিস্থ পর্তুগালের দূতাবাসে যেয়ে ভিসার আবেদন করতে হবে. আর আপনি পর্তুগালে পড়তে বা জব ভিসা আসতে চাইলে আপনাকে লং টার্ম ভিসা বা ন্যাশনাল ভিসার (ডি ভিসা ) আবেদন করতে হবে. পর্তুগাল যেটাকে রেসিডেন্স ভিসা বলে থাকে। এমবাসিতে যাবার আগে আরো কিছু জিনিষ মাথায় রাখতে হবে সেটা হলো ডকুমেন্টস সত্যায়ন। পর্তুগাল আবেদনের আরেকটা মেইন ঝামেলা হলো যাবতীয় ডকুমেন্টস পর্তুগালের দূতাবাস দ্বারা সত্যায়ন দরকার পরে. আর সেইটা করতে চাইলে ইন্ডিয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই . পর্তুগাল দূতাবাস সত্যায়ন করতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে এডুকেশন মিনিষ্ট্রি, ফরেইন মিনিষ্ট্রি থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে, তারপর বাংলাদেশ হাই কমিশন নিউ দিল্লি থেকে সত্যায়িত করতে হবে — ফাইনাল কাজ হলো পর্তুগালের দূতাবাসের সত্যায়ন। আপনি আপনার যাবতীয় ডকুমেন্টস সত্যায়ন করতে পারবেন দূতাবাসের নির্দিষ্ট ফি প্রদানের মাদ্ধমে। আর ডকুমেন্টস সত্যায়নের কাজটির জমা এবং ডেলিভারির দায়িত্ব নিয়েছেন ভিএফএস গ্লোবাল ইন্ডিয়া লিমিটেড। আপনি নিউ দিল্লির শিবাজী স্টেডিয়ামে নেমে ভিএফএস যেয়ে পর্তুগালের কাউন্টারে জমা দিতে পারবেন সত্যায়নের জন্য.

উল্লেখ্য যে বর্তমানে পর্তুগালের সকল প্রকার লং টার্ম ভিসার আবেদন ভিএফ এস গ্লোবার ইন্ডিয়া জমা নেন এবং ভিসা ডিসিসনের কাজ দূতাবাস কর্তৃক প্রদানের পর আবার বিএফ এস সেটা ডেলিভারি দেন . তারা জাস্ট মাধ্যম হয়ে কাজটি করতেছেন। তাই আপনাকে পর্তুগালের ভিসার জন্য ডকুমেন্টস সত্যায়নের কাজ এবং ভিসা আবেদন জমা দানের কাজ উভয়টা ভি এফ এসে করতে হবে . শুধুমাত্র ইন্টার্ভিউ দেয়ার জন্য আপনাকে দূতাবাসে যেতে হবে অন্যথায় নয়.

৩য় ধাপ ভিসা আবেদন :

লং টার্ম ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে যা যা ডকুমেন্টস লাগবে :

  • Passport or other documents for travelling that has a validity of at least 6 months more than the visa
  • A complete National visa application form.
  • Visa application Fees (Payable by Card or Cash at VFS)
  • Passport type photos ( 35*45 mm)

Police Clearance certificate ( From Bangladesh) if anyone wants to apply from except your home country you must collect PCC from your current country of residence.

  • A recognised certificate stating completion of high school/Bachelor’s degree
  • Transcripts of academic records
  • International/ Schengen health insurance
  • Proof of accommodation (minimum 3 months)
  • Vaccination records (if any)
  • Proof of admission in a higher education institution/work contract/ invitation letter/offer letter
  • Proof of means of subsistence/ Bank solvency certificate from your sponsor
  • Expected travel itinerary ( air tickets reservation)

$ads={1}

এমবাসি যে ডকুমেন্টস সাবমিশনের পর ৫/৩০ দিনের মধ্যে আপনাকে ইন্টারভিউয়ের জন্য কল করা হবে এমবাসিতে। এমবাসি আপনাকে পূর্ববর্তী পড়াশুনা সম্পর্কে, ব্যাংক ব্যালান্স সম্পর্কে, স্পন্সরশীপ যে দেখাবে তার টাকা উৎস কি সে সম্পর্কে, কেন পর্তুগাল এবং কেন নির্ষদিষ্ট প্রোগ্রাম নিলেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন করবেন। আপনাকে সব গুলো প্রশ্নের উত্তর যথাযত দিতে হবে . ইদানিং এমন কারণ দেখিয়ে রিজেক্ট করতে দেখি যেখানে লিখা — ইন্টারভিউ না কি কনস্যুলার অফিসারকে তেমন আকর্ষণ করে নি . স ইন্টারভিউ এর জন্য প্রিপারেশন দরকার আছে বলে আমি করি .

এখন একটা কথা/ জিজ্ঞাসা : কেন পর্তুগালে পড়তে আসবেন ?



যদি এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করা হয় তাহলে উত্তরটা এরকম-

প্রথমত : পর্তুগালের শিক্ষা ব্যাবস্থা ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা যথেষ্ট উন্নত মানের এবং পর্তুগালের সকল ডিগ্রী আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য।

২য় কারন:

এখানে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম টিউশন ফি দিয়ে পড়াশুনা করা যায়.

৩য় কারন:

এখানে থাকা খাওয়া/ লিভিং এক্সপেন্স ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম . ৩০০-৩৫০ ইউরোর মধ্যে যাবতীয় খরচ বহন করা পসিবল।

৪র্থ কারণ :

পর্তুগাল অভিবাসন ফ্রেন্ডলি কান্ট্রি, এখানে জব মেনেজ করে খুব সহজেই চলা সম্বভ .

৫ম কারণ :

শেষ কারণ হিসাবে বলবো ইউরোপে তথা পুরো বিশ্বের বেস্ট কান্ট্রি ইমিগ্রান্টদের অন্য সেটা হলো পর্তুগাল বর্তমান সময়ে . পর্তুগাল একমাত্র দেশ যেখানে যারা লিগ্যাল ভিসা নিয়ে পর্তুগাল আসেন সেটা হোক পর্তুগালের টুরিস্ট ভিসা, ন্যাশনাল ভিসা ( জব ভিসা ) স্টুডেন্ট ভিসা বা অন্য দেশের যেকোনো লিগ্যাল ভ্যালিড ভিসা সেটা দিয়ে আপনি পর্তুগালে রেসিডেন্স পারমিট নিতে পারবেন. পর্তুগাল একমাত্র দেশ যারা কি না সকল প্রকার পর্তুগিজ ভিসা/রেসিডেন্স কে পারমেন্ট ব্যাসিস হিসাব গণনা করে যেটা ইউরোপের কোনো দেশ করে না . অর্থাৎ আপনি পর্তুগালের স্টুডেন্টস ভিসায় আস্তে পারলে রেসিডেন্স পার্মিট ইস্যুর তারিখ থেকে ৫ বছর থাকতে পারলে যে কোনো ক্যাটাগরিতে আপনি পি আর বা পর্তুগালের নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য এলিজিবল হবেন . একটা উদাহন দেয় — নরওয়েতে আপনি স্টুডেন্টস ভিসা গেলে সেটা পার্মানেন্ট রেসিডেন্স আবেদনের ক্ষেত্রে গণনা করা হবে না , শুধু মাত্র যখন স্কিল্ড জব ভিসা নিয়ে থাকা শুরু করবেন পড়াশুনা শেষে তখন থেকে গণনা শুরু হবে , আবার ফিনল্যান্ডে কথা বলি পি আর আবেদনের ক্ষেত্রে আপনি যতত বছর স্টুডেটস হিসাবে থাকবেন সেটা কে তারা হাফ হিসাবে গণনা করবে। যেমন ৪ বছর পড়াশুনা করলেন পি আর আবেদনের ক্ষেত্রে বা নাগরিকত্বের জন্য সেটাকে অর্ধেক হিসাবে ধরা হবে . বাট পর্তুগাল একেবারে ব্যাতিক্রম যেদিন থেকে পর্তুগালের রেসিডেন্স ইস্যু হবে সেদিন থেকে আপনি ৫ বছর পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন .


$ads={1}

আর অনেক কারণ আছে, আপনি চাইলে স্টুডেন্টস থেকে জব, কিংবা রেসিডেন্সিয়াল স্ট্যাটাস ইন্ডিপেন্ডেন্ট করে নিতে পারবেন যা দিয়ে আপনি চাইলে একাধারে পড়াশুনা, নিজের নামে বিজনেস, বা অন্যের অধীনে জব এমনকি স্বপরিবারে বসবাসের মতো সুযোগ নিতে পারবেন ,উপরোক্ত কারণের প্রেক্ষিতে পর্তুগাল কে পড়াশুনার জন্য বেছে নেয়া সবচেয়ে উত্তম কাজ আপনার জন্য .


স্কলারশিপের সুযোগ আছে কি না ?



পর্তুগালে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ। যা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারে। যেমনঃ Erasmus mundus Scholarship, এটা ইউরোপিয়ান উনিয়ন কর্তৃক প্রদত্ত উচ্চশিক্ষা বৃত্তি . সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ হিসাবে গণ্য করা হয়. এরাসমুস মুন্ডস স্করলাশীপ নিয়ে বিস্তারিত তথ্যের পাবেন এই লিংকে — http://bit.ly/2X9PV6L.


FCT Scholarship — Fellowships & Grants এটা পর্তুগালের খুব সম্মানজনক একটা বৃত্তি, পি এইচ ডি এবং পোস্ট ডক্টরেট এর জন্য এটা প্রদান করা হয় .প্রতি বছর ২৫০-৩০০ ফাইনাল আবেদন তারা নিয়ে থাকেন।

$ads={1}

তাছাড়া প্রতিটা উনিভার্সিটি তাদের Internal Scholarship এর ব্যাবস্থা থাকেন। ভালো রেজাল্টের ভিত্তিতে আপনি সর্বোচ্চ ৫০-৭৫% টিউশন ফি ছাড় পেতে পারেন। ইন্টার্নাল উনিভার্সিটি বৃত্তির জন্য নির্দিষ্ট ডেডলাইন থাকে সো আপনাকে ওই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে.

পর্তুগালে পড়তে কেমন টাকা খরচ হবে ?





টিউশন ফি/ লিভিং এক্সপেন্স কি মেনেজ করতে পারবো কি না ইনকাম করে ?

আসুন এক নজরে দেখে নেই পর্তুগালের পাবলিক আর প্রাইভেট উনিভার্সিটি গুলো টিউশন ফি কেমন ?

$ads={1}

ইউরোপিয়ান উনিয়নের নাগরিক হলে যে কেউ পর্তুগালের লোকাল যারা অল্প সল্প টিউশন ফি দিয়ে পড়তে পারবেন, যেহেতু আপনি ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস আপনার ক্ষেত্রে ফি একটু বেশি হবে . ব্যাচেলর, মাস্টার্স কিংবা পি এইচ ডি লেভেলের পুরো কোর্স ফি আমেরিকান উনিভার্সিটির ২ সেমিস্টারের ফি এর সমান , এর মনে হলো পর্তুগাল অনেক সস্তায় পড়াশুনা করা সম্বব.



ব্যাচেলর, মাস্টার্স ১২৫০-৭০০০ ইউরো পার ইয়ার .

পি এইচ ডির ক্ষেত্রে ২৭৫০ ইউরো পার ইয়ার.

এখন বলি লিভিং এক্সপেনসেস নিয়ে — পর্তুগালের অনেক সস্তায় থাকা খাওয়া হয়ে যায় . ৩০০-৩৫০ ইউরো এর মধ্যে থাকা খাওয়া পসিবল, ৪০ ইউরো ট্রান্সপোর্ট খরচ প্রতি মাসে যা আপনার পুরো লিসবন জন কভার করবে, ছাত্র হিসাবে আপনি গেলে আপনার জন্য ট্রান্সপোর্ট খরচ ৩০ ইউরো অনলি . বেপার আর খুলামেলা বলার দরকার নেই আমি মনে করি . যেখানে নরওয়ের অসলো যে আপনাকে ১০০ ইউরো ট্রান্সপোর্ট খরচ গুনতে হবে সেখানে ৩০ ইউরো কিছুই না ,

এবার আসি ইনকাম নিয়ে





পর্তুগাল ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের টপ ১০ এ নাই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিক থেকে কিন্তু টপ ১৫ এ আছে ঠিক ই . পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটিভিয়া, লিথুনিয়া, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, কয়েক রিপাবলিক ক্রোয়েশিয়া, এইসব দেশ থেকে অনেক এগিয়ে আছে . পর্তুগালের সর্বনিম্ন সেলারি ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী ৬৩৫ ইউরো , তবে সবাই বাঙালি ইন্ডিয়ান জব এর বাহিরে জব কবলে মিনিমাম থেকে বেশি ইনকাম করা পসিবল। দেশি দের সাথে জব করলে ঘন্টার হিসাব থাকবে না অথচ মিনিমাম থেকে কম বেতন দিবে আপনাকে , আপনি চাইলে পর্তুগিজ জব মেনেজ করতে পারবেন সেটা একটু সময় সাপেক্ষ. ৭০০/৮০০ ইউরো ইনকাম পসিবল ফুল টাইম জব করে. জবের অনেক সুযোগ আছে জব নেই শুধু শুনবেন বাঙালি এরিয়াতে গেলে ই . কারণ দুনিয়ার সব দেশের মানুষ এখন পেপার্স এর আশায় লিসবন এ।



এখন ছাত্র হিসাবে আবেদনের জন্য কিছু জিনিষ মাথায় রাখবে হবে




$ads={1}

পর্তুগালের এমবাসি বাংলাদেশি ছাত্র ছাত্রী যারাই বিগত বছর গুলোতে আবেদন করেছেন তাদের ম্যাক্সিমাম ভিসা রিজেক্ট করেছে খুব সিলি কারণ দেখিয়ে, স্কলারশিপ হোল্ডার ছাড়া খুব কম ই ভিসা পেয়েছেন, আপনাকে যে জিনিস গুলো মাথায় রাখতে হবে -

আপনি জেনুইন স্টুডেন্টস এবং পড়াশুনা করার জন্য ই কেবল পর্তুগাল আসতেছে সেটা প্রমান করতে হবে . পারলে স্করলারশিপ সহ চেষ্টা করেন.

ব্যাংক সলভেন্সি খুব ভালো হতে হবে . যে আপনার স্পনসর হতে তার সাথে আপনার সম্পর্ক কি কিংবা তার ইনকাম সোর্স কি সেগুলোর বেপারে যেন আপনি এমবাসির কাছে স্পষ্ট জবাবদিহি করতে পারেন সেটার জন্য তৈরি থাকতে হবে .

স্পন্সরের একাউন্টে অস্বাভাবিক বড় মাপের লেনদেন হলে সেটার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন কি না ..

জাল এডুকেশনাল সার্টিফিকেট বা ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেটে উপস্থাপন নাকরা এমবাসিতে ,

ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি সহকারে পর্তুগালে এডমিশন নেয়ার চেষ্টা করা .

পূর্ববর্তী স্টাডির সাথে যেন বর্তমান স্টাডির কিছুটা হলেও মিল থাকে সেটা মাথায় রাখতে হবে . ধরেন আপনি ইংলিশ লিটারেচার নিয়ে অনার্স করেছেন এখন পর্তুগালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে পড়তে চাইলেন সেটা আধো কারো কাছে বোধগম্য নয়.





Tahsir Ahmed Munna

I am a Ph.D. Student at Instituto Superior Técnico (IST) and Researcher Instituto de Telecomunicações (IT), Lisbon, Portugal. My research area is Deep Learning based image compression. I have a master’s degree in Data Science from Higher School of Economics (HSE), Moscow, Russia.

1 Comments

  1. সকল কিছু ঠিক ঠাক আছে ভাল লেগেছে কিন্তু আমি বিস্তারিত কোথায় পাবোইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

    ReplyDelete
Previous Post Next Post

Sponsor

نموذج الاتصال